বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ - ১৮:৩০
ফাদাক-হযরত যাহরা (সা.)-এর জন্য কুরআনসম্মত একটি উপহার

যখন এই আয়াত ‘ওয়াতি যা-ল-কুরবা হাক্কাহু’ নাজিল হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফাতিমাকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁকে ফাদক দান করলেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ মাদানী বাজাস্তানি বলেন, সূরা শরীফা ইসরা-এর ২৬ নম্বর আয়াতে এসেছে:
وَآتِ ذَا الْقُرْبَىٰ حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا
“আত্মীয়কে তার প্রাপ্য অধিকার দাও, মিসকীনকে দাও, পথিককে দাও, আর অপচয় করো না।”
এই পবিত্র আয়াতটি-যেমন শিয়া ও সুন্নি উভয়ের বহু বর্ণনা থেকে জানা যায়, এবং যেগুলোর কিছু আমরা উল্লেখ করেছি-নাজিল হওয়ার পর রাসুল আরাম (সা.) আল্লাহর নির্দেশে ফাতিমা যাহরাকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁকে ফাদক দান করলেন। আয়াতে বলা হয়েছে: وَآتِ ذَا الْقُرْبَىٰ حَقَّهُ -“আপনার নিকটাত্মীয়কে তার অধিকার দিন।” এখানে যে নিকটাত্মীয়ের কথা বলা হয়েছে, তা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ করে। কুরআনে ‘কুরবা’ শব্দটি বিভিন্ন স্থানে এসেছে, তবে এই আয়াতটি বিশেষভাবে নির্দিষ্ট।
বর্ণনাগুলোর মধ্যে যেমন ‘শাওয়াহিদুত-তানযিল’–এ হাকিম হুসাইনি (বা হাকিম হাস্তানি) সাতটি সূত্রে এবং সাতটি সনদে উদ্ধৃত করেছেন যে-
“যখন ‘ওয়াতি যা-ল-কুরবা হাক্কাহু’ আয়াতটি নাজিল হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফাতিমাকে ডাকলেন এবং তাকে ফাদক প্রদান করলেন।”
এখন প্রশ্ন-কেন তাঁকে ফাদক প্রদান করা হলো?
এটি কোনো সাধারণ উপহার ছিল না; বরং এটি ছিল একটি অধিকার-নির্দেশক দলিল। যাতে ১৪ শত বছর পরে আমরা আজ এখানে বসে ফাতিমা যাহরার অধিকার, আলী ইবনে আবি তালিবের বৈধ নেতৃত্ব এবং অন্য পথগুলোর বাতিলতা প্রমাণের জন্য এটিকে দলিল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি। ফাদক কোনো বাগান-উপহার নয়; ফাদক হলো যাহরার মজলুমিয়তের দলিল, এবং আলী ইবনে আবি তালিবের হক্বানিয়তের দলিল-তাদের জন্যও একটি স্পষ্ট প্রমাণ যারা এ অধিকার অস্বীকার করেছিল।
আমি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘আদ-দুররুল-মানসুর’ থেকে উদ্ধৃত করছি। চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৭৭-এ সুয়ূতি বর্ণনা করেছেন-
“এটি বের করেছেন বায্‌যার, আবু ইয়ালা, ইবন আবি হাতিম এবং ইবন মারদুয়াইহ-আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে। তিনি বলেন: যখন এই আয়াত ‘ওয়াতি যা-ল-কুরবা হাক্কাহু’ নাজিল হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফাতিমাকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁকে ফাদক দান করলেন।”
আরেকটি বর্ণনায় এসেছে-“ইবন মারদুয়াইহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যখন ‘ওয়াতি যা-ল-কুরবা হাক্কাহু’ আয়াতটি নাজিল হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফাতিমাকে ডাকলেন এবং ফাদক তাঁকে ইকতা (অধিকারের স্থায়ী অনুদান) হিসেবে প্রদান করলেন।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha